রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালে সার্জন ডা. মকবুল হোসেন মুকুল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালে তিনটি বাচ্চার জন্ম হয়। মাহিনুর আক্তার ছেংগারচর পৌর এলাকার কলাকান্দা গ্রামের মো. খবির হোসেনের স্ত্রী। এর আগেও তার একটি ছেলে সন্তান আছে। মাহিনুর আক্তারের দুইটি কন্যা সন্তান ও একটি ছেলে একসঙ্গে জন্ম হওয়ায় পরিবারের সবাই খুশি।
ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ডা. মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, নবজাতকের মধ্যে দুটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তান। তাদের নাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমনা আক্তার বলেন, প্রসব বেদনা শুরু হলে গৃহবধূ মাহিনুর আক্তার শুক্রবার হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন।
রিপোর্টে দেখা যায়, তার গর্ভে তিনটি বাচ্চা রয়েছে। দ্রুত গৃহবধূকে অপারেশন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই হাসপাতালের অপারেশন শুরু করেন। অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সেইসঙ্গে সুস্থ শরীরে একটি একটি করে তিনটি ফুটফুটে নবজাতক প্রসব করেন গৃহবধূ মাহিনুর আক্তার। বর্তমানে মা ও তিনটি শিশু সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে একই সঙ্গে তিনটি বাচ্চা জন্মের ঘটনায় হাসপাতালে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
নবজাতকদের বাবা মো. খবির হোসেন বলেন, আল্লাহ তাকে তিনটি বাচ্চার বাবা বানিয়েছেন বলে খুবই খুশি। তবে খবির হোসেন একজন কৃষক।
কৃষিকাজের ওপরই চলে তার সংসার। তার সংসারে রয়েছে আরও একটি ছেলে সন্তান। এখন চারটি বাচ্চার খরচও অনেক বেড়েছে।
সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে তার পরিবারের ওপর চাপ কমবে।
এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।