pressbd24
ঢাকারবিবার , ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ : চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে হেফাজতের মামলার আবেদন

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪ ৫:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক কর্মী মামলার আবেদন করেছেন। মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪শ থেকে ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মী এনামুল হক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন সমর্থক। গত ২৬ নভেম্বর তিনি জমি রেজিস্ট্রির কাজে আদালতে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা ‘একটা দুইটা মুসলিম ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বাদীর পরনে পাঞ্জাবি এবং টুপি থাকায় ‘মোল্লাকে জবাই কর’ বলে তার ওপর হামলা করে বিক্ষোভকারীরা। হামলায় তিনি তার ডান হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং মাথায় কিরিচ দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। এরপর আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মী এনামুল হক আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন। দাড়ি-টুপি থাকায় সেদিন তার ওপর হামলা করা হয়। তার ডান হাতে ভেঙে গেছে এবং মাথায় কিরিচের কোপও রয়েছে। এ ঘটনায় চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শুনানির জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।’

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রক্ষ্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধরা। পরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা করেছে। এতে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

এছাড়া গত শনিবার নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। পাশাপাশি আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেছেন নগরের কোতোয়ালী থানায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।