বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চন্দন কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন চন্দন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিল। ভেবেছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এরই মধ্য পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে। আলিফ হত্যার ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দন ছুরি হাতে সাইফুলকে কোপ দিচ্ছিলেন। তার মাথায় ছিল হেলমেট।