চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের ধাক্কার ঘটনায় হওয়া মামলায় ট্রাক চালক ও সহকারির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই দুই আসামি হলেন—ট্রাকচালক মুজিবুর রহমান (৪০) ও তার ছেলে ট্রাকের হেলপার মো. রিফাত মিয়া (১৮)। তারা দুজনেই ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা।
শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে চাপা দেওয়ার ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ধারায় হওয়া মামলায় দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।’
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮ নম্বর ধারায় বলা আছে, নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত গতি, বেপরোয়াভাব, ওভারটেকিং, ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরযান চালানোর ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়, তা হলে মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসনাত ও সারজিস আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো গাড়ি ছিল। সাইফুলের গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজি রাস্তার মাথা।
ওই এলাকায় বহরের গাড়িগুলো গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। প্রথমে ১২টি মোটরসাইকেল ও পাজেরো গাড়িটি মহাসড়কে ওঠে। ওই পাজেরো গাড়িতে হাসনাত-সারজিস ছিলেন। পরে একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে উঠতেই চট্টগ্রামমুখী একটি মালবাহী ট্রাক গাড়িটির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে কারটির সামনের বাঁ দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটিতে হাসনাত-সারজিসের কয়েকজন সফরসঙ্গী ছিলেন। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির চালক বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।