জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামি আলোচক শায়েখ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এ ঘটনা প্রমাণ করে, যেসব তথাকথিত সভ্য দেশ আমাদের দিনরাত মানবতা ও সম্প্রীতির সবক শেখায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আমরা তাদের থেকে বহুগুণ এগিয়ে আছি।
বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, যেখানে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু নিপীড়ন চলে, তারা যখন আমাদের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, তখন তাদের প্রতি আমাদের শুধু করুণা হয়।
রোববার (১ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।
শায়েখ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, অনেক বিষয়ে আমরা পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকলেও সহনশীলতা, বৈষম্যহীনতা ও সম্প্রীতিতে আমরা বহুগুণ এগিয়ে আছি। এর প্রধান কারণ দুটি।
প্রথমত, এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। আর ইসলাম আমাদেরকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সংযম ও সহনশীল আচরণ করতে শেখায়।
ইসলামের এই শিক্ষার কারণেই এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংখ্যালঘুদের প্রতি সব সময় সহানুভূতিশীল আচরণ করে থাকে।
দ্বিতীয়ত, এ দেশের আলেমগণ দেশের সকল সংকটময় মুহূর্তে পরম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। যার সুফল আমরা সব ধরনের মানুষ ভোগ করে থাকি। এ কারণে আলেমদেরকে দেশের মূলধারায় যতবেশি সম্পৃক্ত করা যাবে, দেশ ও দেশের মানুষ ততবেশি উপকৃত হবে।
গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে রঙ্গম সিনেমা হল–সংলগ্ন এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।
ওই ঘটনার পর অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছিলেন, তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকারীদের দ্রুততার সাথে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা সরকারের আশু কর্তব্য। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া লোকদের থামানোর ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধা করা যাবে না।
একইসাথে সর্বস্তরের মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের এবং কোনো প্রকার চক্রান্তের ফাঁদে পা না দিতেও অনুরোধ করেছিলেন তিনি।