অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবারের আসরেও সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে জুনিয়র টাইগাররা। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ যুব দল।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইকবাল ইমন এবং মারুফ মৃধার তোপে ৩৭ ওভারে ১১৬ রান করে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় পাকিস্তান।
জবাবে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ২৭ ওভার ৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
পাকিস্তানি যুবাদের লক্ষ্য তাড়ায় টাইগারদের শুরুটা ছিল খুবই ধীরগতির। অবশ্য পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপও ছিল দেখার মতো। ফলে প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান তোলে। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২০ রানে আউট হয়ে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। ১৪ বল খেলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১৭ রানে বিদায় নেন দলীয় ২৪ রানে।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ও শিহাব জেমস মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সেই জুটিতেই মূলত জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইয়াং টাইগার্সের। তবে জয় থেকে ৩২ রান দূরে থাকাবস্থায় বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন জেমস। ৩৬ বলে তিনি ২৬ রান করেছেন।
একপ্রান্ত আগলে রাখা বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম বাকি কাজ সেরেছেন অনায়াসে। ৪২ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা, আবদুল সুবহান ও নাভিদ আহমেদ খান। শুরুতে তারা ইকোনমিক্যাল থাকলেও, তাদের ওপর মূল চাপটা ব্যাটাররাই তুলে দিয়েছেন বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ হওয়ায়।
এর আগে দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন ফারহান ইউসুফ। বাংলাদেশের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ইমন। পাকিস্তান শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসে ভুগেছে।
নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছে ইমন-মারুফ জুটি। মারুফ নিয়েছেন ২ উইকেট, আল-ফাহাদ ও দেবাশীষ দেবা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটি শিকার ধরেন।