মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা, মাড়ি, লালা গ্রন্থি এবং গলা সবই মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, এটি বিপজ্জনক এবং কখনও কখনও মারাত্মক অসুস্থতা। মুখের ক্যান্সারের মৃত্যুর হার অন্যান্য অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়মিত মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সম্পর্কে জানা গেলে চিকিৎসা করা সহজ হয়। চলুন মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নেওয়া যাক –
১. মাড়ির রক্তপাত :
এটি পেরিওডন্টাল রোগের একটি ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়। মুখের ম্যালিগন্যান্সির আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হলো মুখে রক্তপাত। পরিস্থিতির ওপর ভালোভাবে নজর রাখার জন্য যেকোনো অস্বাভাবিক বা গুরুতর মাড়ির রক্তপাত দেখা দিলে দ্রুত দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
২. দীর্ঘস্থায়ী মুখের ঘা :
মুখের ঘা বা আলসার দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে তা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজে না সারে তবে তা হতে পারে মুখের ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ। এই ঘা দুই সপ্তাহেরও বেশি স্থায়ী হতে পারে এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। এমনকী আক্রান্ত স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে।
৩. চোয়ালে ব্যথা :
মুখের ক্যান্সারের কারণে চোয়ালে ব্যথা, চিবানো এবং গিলে খাওয়া কঠিন হতে পারে। ক্যান্সার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোয়াল বড় হতে শুরু করতে পারে, যা আরও অস্বস্তি এবং দাঁতের ব্যথার কারণ হতে পারে। দাঁতের সমস্যা হলে তা সহজে নিরাময় হয় না।
৪. সাদা বা লাল দাগ :
আপনার মুখের ভেতরে কেবল মাংস বৃদ্ধি এবং ঘা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখের ক্যান্সার লাল বা সাদা অংশ দ্বারাও নির্দেশিত হতে পারে। নিয়মিত পরীক্ষার সময় আপনার দাঁতের ডাক্তারকে মাড়ি, ঠোঁটে বা মুখের মধ্যে কোনো শুকনো বা রুক্ষ দাগ আছে কি না সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
৫. ঘন ঘন গলা ব্যথা :
গলা ব্যথা একটি সাধারণ অসুস্থতা যা ঠান্ডার সময়ে বেশি দেখা দেয়। তবে আপনার যদি ক্রমাগত যন্ত্রণাদায়ক গলা ব্যথা লেগে থাকে, গিলতে অসুবিধা হয় বা গলার পেছনে কিছু আটকে আছে বলে মনে হয় তাহলে তা মুখের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।