বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে হীড বাংলাদেশের (HEED Bangladesh) ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, হীড বাংলাদেশ এমন সময় ৫০ বছর পূর্তি করছে যখন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের ফলে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। হীড বাংলাদেশ যে শিশুদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে আগামীতে এই শিক্ষার্থীরাই হীড বাংলাদেশকে শতবর্ষ বাঁচিয়ে রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে মানুষকে “আশরাফুল মাখলুকাত” সৃষ্টির সেরা জীব ঘোষণা করেছে। এই মানুষেরা একসময় মানুষের ক্ষতি করে আবার উপকারও করে থাকে। কাজেই আমরা যদি আশরাফুল মাখলুকাত হতে চাই তাহলে সেবা করাই একমাত্র কাজ হতে পারে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন হীড বাংলাদেশকে চিনতাম-তাদের অনেক মানবিক কাজের মধ্যে কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসা অন্যতম মানবিক কাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সে সময় অনেক মানুষই কুষ্ঠ রোগীদের নিকটে পর্যন্ত যায়নি, কিন্তু হীড বাংলাদেশ তাদের সেবা করেছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া নারী মুক্তির জন্য অনেক কিছু করেছেন। আজকের হীড বাংলাদেশ সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্যতা শুধু আর্থিক কারণে হয় না, আমাদের মানুষিক, শিক্ষার কারণসহ অনেক কিছু দায়ী। হীড বাংলাদেশ নারীদের যোগ্যতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরণের সুবিধার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা প্রশংসার যোগ্য।
রেভারেন্ড বায়রন পি.বোনিক (Rev. Byron P.Bonik) এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদূর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)'র চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, পিকেএসএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্হাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, আর্চবিশপ বিজয় এন.ডি ক্রুজ, ওএমআই, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি' রোজারিও, সিএসসি, হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনসহ হীড বংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা।
এর আগে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে হীড বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে শুভ উদ্ভোধন করেন এবং পরে কেক কাটেন।