জাতীয় পরিষদের সামনে বিক্ষোভকারীরা সামরিক আইনের বিরোধিতা করে স্লোগান দিচ্ছে। স্বৈরাচারের পতন দাবি করেও স্লোগান শোনা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক ডজন টহল পুলিশের গাড়ি এবং দাঙ্গা পুলিশের বাস দেখা যায় সেখানে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা সব আইনপ্রণেতাদের দেশের আইনসভা জাতীয় পরিষদের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায়। বিরোধী দলের নেতা লি জ্যা মিয়াং জনসাধারণকে সমাবেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন সামরিক আইন ঘোষণাকে একটি ‘ভুল’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভাষণে ইউন সুক-ইওল বলেন, ‘উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি। ধ্বংসাত্মক, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম কারণে জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি একটি অনিবার্য ব্যবস্থা।’