মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ২ জন খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও ১ জন বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১১, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন এবং সিলেটে একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯৩ হাজার ৬৮৫ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৫০৪ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।